সুস্থ থাকার জন্য যে ১০টি খাবার অবশ্যই খাবেন
সুস্থ থাকার জন্য যে ১০টি খাবার অবশ্যই খাবেন
অনেকেই জানেন না সুস্থ থাকার জন্য আমাদের কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিত । জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে তুলতে প্রথমেই প্রয়োজন সুস্থ, সবল ও সতেজ দেহ ।
সুস্থ
থাকার জনয আমাদের নিয়ম মেনে সঠিক খাবার গ্রহন করতে হবে। সঠিক সময়ে এ খাবার
গুলো না খেলে শরীরে বিভিন্ন সমসা দেখা দিবে । আসুন জেনে নিই সুস্থ থাকার
জন্য যে ১০টি খাবার অবশ্যই খাবেন।
1. খেজুর
2. দুধ
3. বাদাম
4. মাশরুম
5. কমলা
লেবু
6. মিষ্টি আলু
7. ডিম
খেজুর
খেজুরে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো
প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ। যা হজম, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং হৃদরোগের জন্য
দুর্দান্ত। হজম উন্নত করতে, শক্তিশালী হাড় গঠনে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এবং রক্ত
চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি হলেও খেজুর খেতে হবে। রাতে
ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেলে বেশি উপকার পাবেন ।
দুধ
দুধকে একটি সম্পূর্ণ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় । এতে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালোরি, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ।দুধের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। জয়েন্টের ব্যথা কমাতে, ঘুমের মান উন্নত করতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিয়মিত দুধ পান করতে হবে
বাদাম
বাদামে প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, মনোস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফোলেট সর্বাধিক পরিমাণে রয়েছে। এছাড়াও বাদাম ভিটামিন ই, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং ফাইটোকেমিক্যাল ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ। নিয়মিত বাদাম খাওয়া উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বাদামের স্বাস্থ্যকর চর্বি, ভিটামিন ই, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সবই হার্ট জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য, বাদামের পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন প্রতিরোধের সাহায্য করে । বাদামে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন ই রয়েছে, একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । বাদামে থাকা ভিটামিন ই চোখকে রক্ষা করে এবং লেন্সের অস্বাভাবিক পরিবর্তন কমায়। বাদামে উচ্চ ফাইবার উপাদান শরীরকে ডিটক্সিফাই করে এবং স্বাস্থ্যকর হজম কমাতে সাহায্য করে মলাশয়ের ক্যান্সার ঝুঁকি কমায় ।
মাশরুম
মাশরুম ভিটামিন ডি, বি ভিটামিন, সেলেনিয়াম এবং পটাসিয়াম সহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। এতে বিটা-গ্লুকান থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। মাশরুম থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে । ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি হওয়ায়, মাশরুম ওজন হ্রাস এবং হজমে সহায়তা করে।মাশরুমে এর্গোথিওনিন এবং সেলেনিয়ামের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। কিছু মাশরুমে এমন যৌগ থাকে যা নির্দিষ্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে।
কমলালেবু
কমলালেবু ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে, হজমে সহায়তা করতে এবং ক্যান্সার এবং কিডনিতে পাথরের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে। ত্বকের যত্নের জন্য কমলার খোসা ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া হয়। সামগ্রিকভাবে, এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য খাদ্যতালিকায়, বিশেষ করে শীতকালে, কমলা অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু ভিটামিন সি এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা তাপের সংস্পর্শে থাকলেও স্থিতিশীল থাকে। প্রায় 60 গ্রাম মিষ্টি আলু খেলে প্রতিদিন ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করা যায়। মিষ্টি আলু প্রয়োজনীয় ফাইবার এবং শক্তি সরবরাহ করে । এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে হবে।
ডিম
ডিমের পুষ্টিগুণ এর কারণে একে "সুপারফুড" বলা হয়। ডিমে প্রোটিন উপাদান এবং ফলিক অ্যাসিড, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়োডিন, তামা, দস্তা, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম এবং সালফারের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে । ডিম হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url